Poem

Abstract 

 

This is a series of poems titled” ছিন্নমালা” written in the Bengali language by Asrafun Nahar Asha, in which the author beautifully uses outer nature to express her inner psyche. This series of poems consists of three Bangla poems. These poems reflect how nature can assist in conveying human feelings. 

In the first poem, the poetic persona is expressing how she was feeling while her lover left her. Her inner pain had reflected through the nature of the outer world. Here “Rainy monsoon” represents the symbol of a broken heart. 

In the second poem, the poetic persona is cursing her lover who had left her. Moreover, she is wishing to be immortalized in the memory of her lover. From her perspective, nature will make him reminisce about their love. For instance, she narrates that the sound of sea waves will make him remember the pain of her.

In the last poem, the poetic persona is comparing her cherished one with the sun. From her point of view, as the earth revolves around the sun she is also revolving around her cherished one. We know that the main source of energy on earth is the sun in the same way her cherished one is the source of her strength. At the same time, the sun has the potential to burn other things as her cherished ones can cause her to fall. So, she dared not go near him as she would fall in love with him.  

Finally, in this series of poems, the poetic persona makes use of nature as a device to demonstrate her inner self.

 

Title:  ছিন্নমালা

 

 

                               ছিন্নমালা
              পরিণয় মালা যেদিন ছিন্ন হলো
              আকাশ জুড়ে অঝোর বর্ষন ছিল।
          প্রকৃতির বৈরী বাতাস জানান দিয়ে গেল,

                          না পাওয়ার বার্তা।
কপোল গড়িয়ে যাওয়া অশ্রু বলে দেয় ঝড়ের পরের নীরবতা,
    আমাদের অসমাপ্ত গল্প তলিয়ে গেল ভারী বর্ষণে,
বসন্তের দিনগুলো শেষ হয়ে বৈশাখের খরা এলো জীবন জুড়ে,
      তবুও সে এলো না অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে
বসন্তের স্মৃতি ভুলে বৈশাখের রুক্ষতা মেনে নেওয়ার পথ হয়ে উঠল বৈরী,
                  তবুও সে ফিরে এসে বলেনি
চল না ছিন্ন মালা আবার গাঁথি বসন্তের নতুন পুষ্প কলি দিয়ে।

       আমাদের অসম্পূর্ণ গল্প  পূর্ণ করি এই বসন্তেই।

সময়ের চোরাবালিতে হারিয়ে গেল আমাদের সেই সোনালী সময়
          যে সময়গুলো ছিল একান্ত আমাদের।
আচ্ছা মুহূর্তগুলোকে কি মুঠো ভর্তি করে আটকে রাখা যায়?
পুরনো স্মৃতি আর অনুভূতি গুলোকে কি আবার অনুভব করা যায় ?
আমি আবার সেই অনুভূতিগুলোকে অনুভব করতে চাই,
                  স্মৃতির রোমন্থন করতে চাই।
কিছু না পাওয়া মাঝে মাঝে অদ্ভুত সুন্দর অনুভূতি এনে দেয়,
        সব গল্প কেন সব সময় প্রাপ্তি দিয়ে পূর্ণতা পাবে?
                      সবকিছু পেতে হয় না ,
পেয়ে গেলে অপ্রাপ্তি তীব্র অনুভূতি থেকে বঞ্চিত হতে হয়
      আমাদের ছিন্নমালা না হয় ছিন্নই  থেকে যাক,
আমাদের গল্পে না হয়ে থাকুক অতৃপ্ততা আর আকুলতা।

 

      অভিশপ্ত স্মৃতি

 

    সময়ের স্রোতে  কি স্মৃতির বিস্তৃতি ঘটে

    আমি তোমার স্মৃতিতে অন্তর্নিহিত হব 

                জন্ম জন্মান্তরে।

পড়ন্ত বিকেলের সূর্য তোমার অধর স্পর্শ করে

জানান দিবে আমার অস্তিত্ব।

বৃষ্টি বিলাসের প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটা মনে করিয়ে দিবে 

তোমার তরে  আমার অশ্রু বিসর্জন।

দক্ষিণের দমকা হাওয়া তোমার চুলগুলোকে অবাধ্য করে

তোমার প্রতিটি স্পন্দনে পৌঁছে দেবে আমাদের এই জন্মজন্মান্তরের দূরত্বের বার্তা

সমুদ্রের গর্জনে শুনতে পাবে

তোমাকে না পাওয়ায় আমার আর্তনাদ

আমার স্মৃতি গুলো রয়ে যাবে তোমার মস্তিষ্কের রন্ধে রন্ধে।

আমি জন্ম জন্মান্তরে ধরে ফিরে আসবো তোমার অভিশপ্ত স্মৃতি হয়ে

 

আলোকবর্ষ দূরত্ব


              সে ছিল সূর্যের মতন,
যার দিকে তাকানোর স্পর্ধা করা যায় না।
সূর্যের প্রথম কিরণ যেমন মুগ্ধতা ছড়ায়,
তার অস্তিত্ব ও তেমন বিমোহিত করে রাখে চারদিক।
ক্ষণিক দর্শনের আকুলতায় অস্থির হয়ে ওঠে মন।
সারা জীবন সেই মুগ্ধতায় জড়িয়ে থাকার সংশয়ে প্রতিনিয়ত আড়াল হই
সেই সূর্য কিরণ থেকে।
    পৃথিবী যেমন সূর্যের চারদিকে আবর্তন করে,
কিন্তু নিজ কক্ষপথ ছেড়ে সূর্যের নিকটবর্তী হওয়ার দুঃসাহস করে না

সূর্যের প্রচন্ড তাপের অস্তিত্ব বিলিনের ভয়ে
তেমনি এই ক্ষুদ্র হৃদয়  ভঙ্গের সংশয়ে,
রয়ে যায় তার থেকে শত আলোকবর্ষ দূরে।
কিছু দূরত্ব যেমন কখনো গোছেনা,
কিছু দেয়াল ও ভাঙা যায় না।
তেমনি এই ক্ষুদ্র প্রাণ সূর্যের সান্নিধ্য চাওয়ার স্পর্ধা করে না,
রয়ে যায় শত আলোকবর্ষ দূরত্বে।